রান্নায় স্বাদ নেই? মসলা মনের মত না? তেলে ভেজাল আছে? আপনিও হয়ে উঠুন পাকা রাঁধুনি, সেই নানী-দাদীদের হাতের রাজকীয় রান্নার স্বাদ। আমাদের খাঁটি সরিষারতেল সাথে বাছাইকৃত মসলার কম্বো। নিশ্চিন্তে ব্যবহার করুন আর নিয়ে আসুন আপনার রান্না ঘরে শান্তি।
খাঁটি সরিষার তেল বলতে সাধারণত ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল কে বুঝায়। আমরা দেশি সরিষার কে বাছাই করে অত্যন্ত যত্নের সাথে কাঠের ঘানিতে পিষ্ট করে সরিষার তেল বের করি এবং ফিল্টার করে আপনাদের কাছে নিয়ে আসি। আমাদের সরিষার তেল শতভাগ খাঁটি, সম্পূর্ণ নির্ভেজাল ও কেমিক্যাল মুক্ত ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল। সাথে আছে আমাদের বাছাইকৃত মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, ধনিয়ার গুড়া, ও জিরার গুড়া। আপনার রান্না হয়ে উঠুক পৃথিবীর সেরা রান্না।
সরিষার তেলের উপকারিতা ও ব্যবহার এ দেশে আদিকাল থেকেই সুপরিচিত। একসময় গ্রামাঞ্চলে মানুষ জন তেল বলতে শুধু সরিষার তেল কেই চিনতো। একই তেল তারা খাবারে রান্নার জন্য ব্যবহার করত, আবার গায়েও মাখত। কারণ সরিষার তেল ত্বক ও স্বাস্থ্য জন্য অনেক উপকারী। এছাড়া এটি খাবারে সুঘ্রাণ এনে খাবার কে সুস্বাদু করে। বিশেষ করে ভর্তা জাতীয় খাবারে সরিষার তেলের কোন জুড়ি নেই।
কোন ধরনের সরিষার তেল স্বাস্থ্যকর?
কাঠের ঘানিতে ভাঙ্গানো সরিষার তেলেই স্বাস্থ্যমান অক্ষুণ্ণ থাকে। কাঠের ঘানির মধ্যেও তেঁতুল কাঠের ঘানির তেল বেশী ভালো।
সরিষার তেলের উপকারিতা:
সরিষার তেলের বিস্তৃত উপকারিতার জন্য এর প্রচলন শুধু রান্নায় ও ব্যবহারেই নয়, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে চিকিৎসায়ও রয়েছে। তাই যারা এর সঠিক গুণাগুণ সম্পর্কে ধারণা রাখেন, তারা এখনও নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করে চলেছেন। আর যারা এই তেলের গুণাগুণ সম্পর্কে-
- স্বাস্থ্যকর রান্নাঃ
সরিষার তেলের রান্নায় যেমন স্বাদ বেশী হয় তেমনি রান্নাকৃত খাদ্যের পুষ্টিমান থাকে অক্ষুন্ন।সয়াবিন,সানফ্লাওয়ার কিংবা রাইসব্রান ওয়েল এর তুলনায় সরিষার তেলের রান্না অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। কাঠের ঘানির সরিষার তেলে রান্না করা খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। - ত্বকের উজ্জ্বলতায় সরিষার তেলের ব্যবহারঃ
সরিষার তেল ত্বকের কালচে ভাব দূর করে প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করতে পারে।
- প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনঃ
সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই থাকে। যা গায়ে মাখলে ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে সুরক্ষিত থাকে। এই ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকে ক্যানসার হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। যা প্রতিরোধে সরিষার তেল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। - চুলের যত্নে সরিষার তেলের ব্যবহারঃ
সাধারণত চুলের যত্নে আমরা নারিকেল তেল বা জলপাই তেলের ব্যবহারটাই বেশি দেখি। কিন্তু চুলের সুস্বাস্থ্য বজায়ে সরিষার তেলের ভূমিকাও কম নয়। সরিষার তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ থাকে যা চুলের বৃদ্ধিতে ব্যাপক সহায়তা করে। নিয়মিত মাথার তালুতে সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে অকালে চুল সাদা হওয়া ও চুল পড়া বন্ধ হয়। এছাড়া সরিষার তেলে থাকা উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন চুলের গোঁড়া মজবুত করে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখে। সরিষার তেলে আরও বিদ্যমান আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়াম চুলের বৃদ্ধির পাশাপাশি চুল কালো করতেও অত্যন্ত কার্যকরী।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সরিষার তেলের ব্যবহারঃ
সরিষার তেল পরিপাক তন্ত্র, রক্ত সংবহন তন্ত্র ও রেচন তন্ত্রের শক্তিশালী উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এটি নিয়মিত শরীরে মালিশ করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ত্বরান্বিত হয়। যা শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না এবং শরীরের সারা দিনের ক্লান্তি ভরা পেশিগুলো উজ্জীবিত এবং সবল রাখে। এছাড়া এটি পরিপাক তন্ত্রে ক্ষুধা সৃষ্টি করে খাবারের রুচি বাড়ায়।
সরিষার তেলে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে তোলে। তাই যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা খাবারে পরিমাণ মত সরিষার তেল ব্যবহার করে খেতে পারেন। এতে হার্ট ভাল থাকবে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।
অনেকেই আছেন যারা জয়েন্টের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস রোগসহ নানা কারণে ব্যথায় জর্জরিত হয়ে থাকেন। ব্যথা দূর করতে পেইনকিলার নিতে হয় যা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তারা সরিষার তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। - ঠান্ডা লাগার সমস্যাই সরিষার তেলের ব্যবহারঃ
ঠান্ডা লাগার কারণে আমরা সচরাচর ডাক্তার দেখাই না। এক্ষেত্রে বুকে কফ জমা স্থানে সরিষার তেল দিয়ে মালিশ করলে বুকের কফ দূর হয়ে যাবে। অনেকের আবার ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে বন্ধ নাক খোলার জন্য এক বাটি পানিতে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল ফেলুন। এবার পানি একটু গরম করে ভাপ নিন। দেখবেন বন্ধ নাক খুলে গেছে শ্বাস প্রশ্বাস সচল রাখবে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বুকে বা পায়ের তলায় সরিষার তেল দিয়ে এই মালিশ খুবই উপকারী ও ফলপ্রসূ।
খাঁটি সরিষার তেল চেনার উপায়ঃ
খাঁটি সরিষার তেল বলতে সাধারণত ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেলকেই বোঝায়। যা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে কাঠের ঘানি দ্বারা সরিষা পিষ্ট করে বের করা হয়। এই দেশীয় পদ্ধতিতে নিঃসরণকৃত সরিষার তেলে ঝাঁজ হয় খুবই কম কিন্তু সুঘ্রাণ হয় তীব্র। অপরদিকে, ইলেকট্রিক কলে পিষ্ট হয়ে ও অনেকটা পুড়ে যে সরিষার তেল বের হয়, সেই তেলই বাজারে বেশি পাওয়া যায়। যার সুঘ্রাণ তীব্র না হলেও ঝাঁজ থাকে অনেক বেশি। তাই খাঁটি তেলের স্বাদ ও উপকার পেতে ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল ব্যবহার করুন।
সরিষার তেল এদেশের ঐতিহ্য ও গ্রাম-বাংলার মানুষের সাথে বহুকাল ধরেই মিশে আছে। একসময় গ্রামবাংলার একমাত্র ভোজ্যতেল ছিল সরিষার তেল। এর স্বাদ ও গুণাগুণের জন্য প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় সুপরিচিত এটি। কিন্তু বর্তমানে খাঁটির নিশ্চয়তা না থাকাই সরিষার তেলের চাহিদা থাকলেও ব্যবহার কমে গেছে। তাই বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রেখে এদেশের মানুষের কাছে খাঁটি ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল পৌঁছে দিতে কাজ করছে “আমাদের ই ডট কম” উন্নতজাতের সরিষা বীজ সংগ্রহ করে কাঠের ঘানিতে সরিষা তেল বের করে ন্যাচারাল পদ্ধতিতে পরিশোধন করা হয়। ফলে এর থেকে পাওয়া যায় সঠিক স্বাদ ও উপকারিতা। তাই আপনার ও আপনার পরিবারের সুস্বাস্থ্যে “আমাদের ই ডট কম” এর খাঁটি ঘানিভাঙ্গা সরিষার তেল ব্যবহার করুন।
অর্ডার করতে ও পাইকারি পেতে আপনার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার আমাদের ইনবক্স করুন।
অথবাফোনকরুন: +8801615980394, +8801615980395.
সমগ্র বাংলাদেশে হোম ডেলিভারি করি।
“ভালো খান সুস্থ থাকুন আমাদেরই ডট কম এর সঙ্গেই থাকুন”
Amadere.com
- Address: Salna, Gazipur City Corporation, Gazipur, City Outside Dhaka, Out side Dhaka, Bangladesh
- Contact Seller: +8801615980395
Amadere আমাদেরই
Customer questions & answers
Customer reviews
5.00 out of 5