গুণের ভান্ডার ছাতু ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার শত্রু হিসাবে বিবেচনা করা হয়। গ্রীষ্মকালে মানুষ নানাভাবে ছাতু ব্যবহার করে। 

এটি খাওয়ারও অনেক উপায় রয়েছে। ছাতু একটি লো গ্লাইসেমিক ফুড, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ঠান্ডা ছাতু খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

এটি রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। কালো ছোলা থেকে তৈরি ছাতুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করে ছাতু এমন একটি পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার যা শরীরের বহুবিধ রোগ নিরাময়ে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। 

তেমনি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার হচ্ছে ছাতু। আসুন কিছু উপকারিতা জেনে নেই ছাতু শরীরের ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ রাখে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন সকালে/বিকেলের খাদ্য তালিকায় রাখুন ছাতু। ছাতুতে উপস্তিত এন্টি এক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে উপস্থিত টক্সিন উপাদান / বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয় এবং দ্রুত পরিপাক ঘটায়। 

জমে সহায়ক ভূমিকা পালন করে তাই ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস ছাতুর সরবত খেতে পারেন। সেই সাথে আপনার শরীরের পানি শূন্যতা দূর করবে এই ছাতুর সরবত। যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ভাত খেতে পারেন না তারা ভাতের পরিবররে ছাতু খান। এতে শরীরের যাবতীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়, সুস্থ থাকা যায়, ব্লাড সুগার কমে আসে। রক্তে কলেস্টেরলের পরিমান নিয়ন্ত্রণে ছাতু অত্যান্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। ছাতুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব ভাল খাবার হতে পারে ছাতু। এক দিকে শক্তির জোগান দেয় আবার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় রক্তে গ্লুকোজ়ের পরিমাণও থাকে নিয়ন্ত্রণে।’’ এ ছাড়াও ছাতুতে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ়, জ়িঙ্ক ইত্যাদি খনিজের চাহিদাও পূরণ হয়ে যায়। কীভাবে খাবেন? 

ছাতু অনেকভাবেই খাওয়া যায়। পানিতে অল্প লবণ, লেবুর রস দিয়ে শরবত করে খাওয়া যায়। ছাতুর পুর দিয়ে রুটি, পরোটা বানিয়ে ফেলতে পারেন। বানানো যায় কাবাবও। ডায়াবেটিস বা ওবেসিটির সমস্যা না থাকলে দুধ, চিনি, কলা মিশিয়ে খান ছাতু। শিশুদের দুধে মিশিয়ে দিতে পারেন ছাতু, তবে অবশ্যই নির্দিষ্ট বয়সের পর। লাড্ডু, হালুয়া বা বরফি বানিয়েও খাওয়া যায় ছাতু।